রমজান মাসে ডায়াবেটিস নির্দেশনাঃ
১। ডায়াবেটিক ব্যাক্তি রোজা রাখতে পারেন।
২। ঔষধের নিয়ম ডাক্তারের কাছ থেকে আগেই জেনে নিন।
৩। খাবারের পরিমাণ অন্য খাবারের মতই থাকবে এবং তিনবার খেতে হবে।
৪। 'হাইপো' লক্ষণ দেখা দিলে খাবার খেতে হবে।
৫। ব্যায়াম করার দরকার নাই, বিকালে বিশ্রামে থাকা ভাল।
৬। কোন অসুবিধা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরী।
রমজান মাসে খাবারের নিয়মঃ
✔ ইফতার (যেকোনো একটি পানীয় বা শরবত রাখা জরুরি)
১। আনারস, তরমুজ, জাম্বুরা,জাম, কমলা, অথবা রসালো ফলের রস অর্ধেক গ্লাস, সাথে অর্ধেক গ্লাস পানি ও ১ চামচ লেবুর রস মিশাতে হবে।
২। মিস্টি স্বাদের জন্য স্যাকারিন বা এস্পারটেম মিশানো যায়।
৩। লাচ্ছি(চিনিবিহীন দই দিয়ে বানানো), মিল্ক সেক(পাকা কলা, পেপে,আম ও দুধ দিয়ে বানানো), কচি ডাবের পানি।
✔ ইফতারে ফলঃ
১।খেজুর ২-৩টা।
২। মিস্টি ফল যেকোনো একটা। যেমন-১টা কলা/আপেল/কমলা/লিচু ৬টা/আতা ফল ১টা/কাঠাল ৩ কোয়া/পাকা পেপে ৬০ গ্রাম/আংগুর ৩টা।
৩। শশা, খিড়া,গাজর,কাচা পেয়ারা ইচ্ছামত।
✔ ইফতারের অন্যান্য খাবার (যেকোনো একটি)ঃ
➤বুট ভুনা ১/২-১কাপ,মুড়ি ২-৩ কাপ।
পেয়াজু ২/৩টা, বেগুনি ২-৩টা, হালিম
অথবা
➤চিড়া ভেজানো- ২কাপ, কলা ১টা, দই ১ কাপ।
অথবা
➤পরোটা/পুরি- মাংস- ডাল/হালিম
অথবা
➤ভাত- মাছ/মাংস/ডাল/সব্জী।
খাবারের পরিমাণ অন্য সময়ে রাতের খাবারের মত।
✔ রাতের খাবার (৯টা-১০টা) যেকোনো একটিঃ
➤ভাত-মাছ/ মাংস-সব্জী, ডাল/দুধ।
অথবা
➤আটার রুটি- মাছ/মাংস-সব্জী, ডাল/দুধ
খাবারের পরিমাণ অন্য সময়ের সকালের নাস্তার মত।
✔ সেহরীতে খাবার(যেকোনো একটি)
➤ভাত- মাছ/মাংস -ডাল/দুধ -সব্জী/ফল
অথবা
➤আটার রুটি-পাউরুটি- মাছ/মাংস - ডাল/দুধ- সব্জী/ফল।
খাবারের পরিমাণ অন্য সময়ের দুপুরের খাবারের মত।
খাওয়া উচিতঃ
১। তিন বেলাই(ইফতার,রাত,সেহেরি) খাবার খেতে হবে।
২। সেহরির শেষ সময়ের অল্পক্ষণ আগে খেতে হবে।
৩। পরিপূর্ণ খাবার খেতে হবে।
খাওয়া উচিত নাঃ
অল্প পরিমাণে খাবার খেয়ে রোজা রাখা ডায়াবেটিক ব্যাক্তির উচিত নয়।
ডাঃ রেজাউল করিম তুষার
এম বি বি এস(ডিইউ), সিসিডি(বারডেম), ক্লিনিক্যাল ফেলো(আইসিডিডিআরবি),
স্পেশাল ট্রেইনড ইন এস্থমা& সিওপিডি(ইউকে)
স্পেশাল ট্রেইনড ইন কোভিড- ১৯ স্পেশালিষ্ট (ডিজিএইচএস)
এস এম ও(বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট)
চেয়ারম্যান (আল্ট্রা চাইল্ড এইড সেন্টার)
0 মন্তব্যসমূহ