এ ঘটনায় স্ত্রী উপজেলা প্রেস ক্লাব কুমারখালী, কুষ্টিয়াতে স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেণ। জানা গেছে,কুমারখালী উপজেলার আগ্রাকুন্ডা গ্রামের ফরমান প্রামানিকের মেয়ে মোছাঃ বিউটি খাতুনের সঙ্গে ইসলামী সরিয়াহ মোতাবেক একই জেলার খোকসা উপজেলার মহিষবাথান গোসাই ডাঙ্গী গ্রামের আক্কাস মল্লিকের (ইউপি সদস্য) ছেলে শাহিন মল্লিকের সাথে প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই কারণে অকারণে স্ত্রীকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী শাহিন মল্লিক ও শ্বশুর আক্কাস মল্লিক । এর মধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
গত ১৩ আগষ্ট সারাদিন নির্যাতন শেষে ঘরবন্ধি করে রাখে স্ত্রী বিউটিকে। পরের দিন সুযোগ বুঝে স্বামী শাহিনের ঘর থেকে পালিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় স্ত্রী। বাসের মধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পরলে বাস যাত্রী জনৈক মহিলা কুমারখালী ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে বিউটিকে। এদিকে উপজেলা প্রেস ক্লাব কুমারখালীর একটি প্রতিনিধি দল গোসাইডাঙ্গী শাহিন মল্লিকের বাড়িতে উপস্থিত হলে শাহিনের দেখা পাওয়া যায় নি। তার পিতা আক্কাস মল্লিক (ইউপি সদস্য) গতকাল ২১ আগষ্ট সময় চেয়ে নেন মিমাংসার জন্য । কিন্তু উপস্থিত হন নাই,মুঠোফোনে খোজ নিলে তিনি বলেন আমি রাজশাহী আজ যেতে পারবোনা। তাতে বোঝা যাচ্ছে ঐ ইউপি সদস্যই যতো নাটের গুরু।
বিউটি খাতুন জানান,২০২০ সালে শাহিনের বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছিলাম,যার নং কুমারখালী সি আর ২২৫/২০। তখন আমার সচতুর শ্বশুর আক্কাস মল্লিক তার ছেলেকে বাঁচাতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আপোষ মিনাংসা করে আমাকে শ্বশুরালয়ে নিয়ে যায়। তারপর থেকে স্বামী শাহীন মল্লিক শারীরিক নির্যাতন আর শ্বশুর মানষিক নির্যাতন শুরু করে। ৫ দিন চিকিৎসা শেষে পিতার বাড়িতে অবস্থান করছে বিউটি।
কুমারখালী ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন বিউটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন (H/O plugsical assault) পাওয়া গেছে যা পুলিশ কেস এর আওতায় পরে। বিউটির পিতা ফরমান প্রমানিক বলেন খোকসা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
0 মন্তব্যসমূহ