উল্লেখ্য যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২০০৪ সাল হতে ১৭ বছর ধরে ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে আসছে। এমপিওভুক্ত এন্ট্রি লেভেলের একজন মাধ্যমিক শিক্ষক ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা হিসেবে পায় ৩১২৫ টাকা মাত্র। মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা আরো কম। এই সামান্য উৎসব ভাতা দিয়ে কোন অবস্থাতেই উৎসব পালন করা সম্ভব নয়।
শতভাগ উৎসব ভাতা হতে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ হিসেবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে গত ঈদুল ফিতরের নামায জাতীয় প্রেসক্লাবে আদায় করে মানববন্ধন করেছে । ২৬ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে এবং ব্যাপক কুটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক এমপি- মন্ত্রীকে শতভাগ উৎসব ভাতার বিষয়টি সংসদে উত্থাপনের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছে।
এ কারণেই বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি- দাওয়া নিয়ে সংসদে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদেরসহ ৬ জন এমপি বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেছেন এবং আসন্ন ঈদুল আযহা হতেই শিক্ষকদেরকে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন এবং শতভাগ উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বামাশিকফো) এর সভাপতি উপাধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ