তিনি বলেন, প্রত্যেকটি বাহিনী ভবিষ্যতে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা দক্ষ তারা পদোন্নতি পেয়ে দেশকে পরিচালনার দায়িত্ব পাবে এবং জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী রবিবার গণভবন থেকে ঢাকা সেনাবনিবাসের নৌ ও বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পরির্ষদ (প্রথম পর্ব) ২০২১ এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্বিত। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চলবে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হয়ে উঠবে।
আপনারা পদোন্নতির জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন টিআরএসিই-ট্রেস (টেবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কম্পারেটিভ ইভালুয়েশন)। এটা একটা আধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ভিত্তিতেই আপনাদের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়ে আগামী দিনে আপনারা নির্বাচনী পরিষদে দক্ষতার সাথে নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী পরিচালনা করবে তাদেরকে নির্বাচিত করা হবে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়— কর্তব্য পালনে অনেকেই দক্ষতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। কাজে দক্ষ ব্যক্তি যেন কোনো ভাবে অবহেলিত না হয় সেদিকটাও আপনারা বিবেচনা করবেন বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা করোনার সময় বাংলাদেশের নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানাই। দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কাজেই, সশস্ত্র বাহিনী সবসময় এই কাজগুলোই করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দক্ষ এবং পেশাদার বাহিনী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছেন। আত্মত্যাগ ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও মর্যাদা। বহির বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে।
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনি পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আমি শুধু শাসক নই বাংলাদেশের মানুষের সেবক। জনগণের সেবা ও কল্যাণ, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা সবসময় কামনা করছি।
রাষ্ট্র পরিচালনায় যখনই প্রয়োজন হবে তখনই সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেভাবে মানুষের সেবা করেন সেভাবে সেবা করে যাবেন।
আইএসপিআর জানায়, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে সদর দপ্তরে আয়োজিত নৌবাহিনীর নির্বাচনী পরিষদের মাধ্যমে কমান্ডার থেকে ক্যাপ্টেন, লে. কমান্ডার থেকে কমান্ডার পদগুলিতে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ছাড়া বিমান বাহিনীর সদর দপ্তরে আয়োজিত বিমান বাহিনীর নির্বাচনীপরিষদের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন থেকে এয়ার কমান্ডর, উইং কমান্ডার থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এবং স্কোয়াড্রন লিডার থেকে উইং কমান্ডার পদে যোগ্য প্রার্থীদের পদোন্নতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
4 মন্তব্যসমূহ
GOOD
উত্তরমুছুনখুব ভালো সিদ্ধান্ত।
উত্তরমুছুনGood News
উত্তরমুছুনসুন্দর মতামতের জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন