সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

ইবিতে অল্প বৃষ্টিতেই শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ।।বিডি নিউজ.ইন।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ সামান্য বৃষ্টি হলেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন সড়কে কাদা ও পানি জমতে থাকে। এতে বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। খানা-খন্দ ও কাদামাখা রাস্তায় চলাচলের সময় পড়ে গিয়ে ছোট-বড় দূর্ঘটনারও শিকার হন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। পানি নিষ্কাষনে যথাযথ পদক্ষেপ ও রাস্তা সংস্কার না করায় এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। সড়কগুলো সংস্কারে কোনো প্রজেক্ট নেই বলে জানিয়েছে প্রকৌশল দফতর।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল মোড়, বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ সংলগ্ন রাস্তায় খানা-খন্দ, কাদা ও পানি জমার ফলে ব্যবহারে প্রায় অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। একইসাথে কাদা জমে পিচ্ছিল হয়ে যায়। এসব সড়কে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত বেশি করে থাকে। ফলে ছোট-বড় দূর্ঘটনার খবরও শোনা যায়। এছাড়া বাংলা মঞ্চ সংলগ্ন আমবাগান, ডায়না চত্ত্বর সংলগ্ন আমবাগানে কাদা জমে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

এদিকে জিয়া মোড় থেকে শেখ হাসিনা হল পর্যন্ত রাস্তা, কেন্দ্রীয় মিলনায়তন সংলগ্ন, আমবাগান সংলগ্ন ডায়না চত্বর, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, চিকিৎসাকেন্দ্র বিভিন্ন হল, আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা সংলগ্ন রাস্তায় পানি জমে থাকে। বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ভেঙ্গেও পানি জমে থাকে। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ক্যাম্পাসে পানি নিষ্কাষণের জন্য থাকা ড্রেনগুলোতেও আবর্জনা জমে রয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাষণ ব্যহত হচ্ছে। একইসাথে বিভিন্ন স্থানে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তুপে পানি জমে দূর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া নির্মানাধীন ভবনগুলোতেও পানি জমে থাকে। এগুলো মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘ইবি শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট সংলগ্ন মেসে অবস্থান করেন। ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য আমরা হলের পকেট গেটের রাস্তা দিয়ে পারাপার হই। বৃষ্টির দিনে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় মনে হয় যেন ছোটখাটো নদী পার হচ্ছি। রাস্তাটি ভেঙ্গে খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় দূর্ভোগ আরো বেড়েছে। ক্যাম্পাসের অনেক রাস্তার একই দশা। বিষয়গুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহীদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, ‘এসব নিয়ে আমাদের কোনো প্রজেক্ট নেই। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ