বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার একাধিক কূটনৈতিক সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ মার্কিন অনুদান কোন বাহিনী পায় এবং কীভাবে ব্যয় হয়, সে সম্পর্কে তাদেরকে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে হবে। একই সঙ্গে পরবর্তীতে অনুদান পেতে ঢাকাকে এ সংক্রান্ত নতুন একটি চুক্তিতে সই করতে হবে।
সূত্র বলছে, প্রতি বছর বাংলাদেশকে বিরাট অঙ্কের সামরিক অনুদান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এটি বিভিন্ন বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যয় হয়। বাংলাদেশ কোথায়, কীভাবে ওই অনুদান ব্যবহার করছে তা তারা এখন জানতে চায়। মার্কিন তাগিদপত্র পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক দফা বৈঠক হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা রয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি জোরদার করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার অধীনে সামগ্রিক সহযোগিতা রয়েছে এবং এটি তার একটি অংশ। আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সামরিকসহ অন্যান্য সহযোগিতা ছিল, আছে এবং থাকবে।’
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ