এদিকে বিয়ের মাস না পেরুতেই ইলিয়াস-সুবাহর সংসারে ভাঙনের সুর বাজে। স্বামীর বিষয়ে একের পর এক বিস্ফোরক বিষয় প্রকাশ্যে আনেন সুবাহ। অন্যদিকে ইলিয়াসও চুপ থাকেননি।
ইলিয়াস-সুবাহর এখনো বিচ্ছেদ ঘটেনি। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দুইটি। তবে এখন ইলিয়াস থেকে মুক্তি চান সুবাহ। ইলিয়াসের বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছেন এ অভিনেত্রী।
গায়কের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কীভাবে তার দিন কাটছে- এ নিয়ে শনিবার ফেসবুকে বিস্তারিত জানিয়েছেন সুবাহ।
সুবাহর স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
“একটা মানুষের যখন ব্রেকআপ হয় তখন সে এতটাই ডিপ্রেশনে চলে যায় যে, অনেকেই আ ত্মহ ত্যা করে বসে সামান্য প্রেমের সম্পর্কের কারণে। সেখানে আমি সুবহা এত কিছুর পরেও নিজের জীবনটাকে গুছিয়ে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখে ঘর বেঁধেছিলাম, বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু সেটা ২ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে গেল।
ঘরোয়াভাবে হলেও সব রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী হলুদ, মেহেদী, রেজিস্ট্রি ও কাবিন করেই বিয়েটা হয়েছিল আমাদের, কিন্তু সেটা যে এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে কখনও কল্পনা করিনি আমি। দুঃস্বপ্নের মত লাগছে আমার কাছে। ওই ঘটনার পরে কত যে কেঁদেছি, মানুষের সামনে এবং আড়ালে সেটা আমার চোখ দুটি ভালো সাক্ষী দিতে পারবে।
প্রতিটা মানুষেরই বিপদে পড়ে দেখা উচিত কে কে তার দুঃসময়ে পাশে থাকে। আমার এই বিপদের সময় অনেকেই আমার পাশে ছিল এবং আছে, ওই জন্য হয়তো বা আমি এত স্ট্রং আছি, বেঁচে আছি।
কিন্তু ভিতরে ভিতরে আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে আমি যখনই ভাবছি হঠাৎ করে এত আয়োজন করে বিয়ে হলো, এভাবে চোখের পলকেই বিশ্বাস ঘাতকের জন্য আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল, স্বপ্ন ভেঙে গেল।
আমি পুরা ট্রমার মধ্যে আছি। মানসিকভাবে সবকিছু এলোমেলো লাগছে কি করে একটা মানুষ এত বিশ্বাসঘাতক হতে পারে, কি করে একটা মানুষ এত বিবেকহীন হতে পারে?। সেই লোকটার কাছে বিয়েটাও একটা মজা, বিয়েটাও একটা খেলা, বিয়েটাও একটা বিজনেস। শুধু অপেক্ষায় আছি এই মিথ্যা সম্পর্কের বাঁধন থেকে কবে ছুটিয়ে নিয়ে মুক্তি দিতে পারব নিজেকে।
তবে আমার কাছের কিছু আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব আছে তারা আমার লাইফে ফেরেশতার মতো আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে। তাদের প্রতি আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব, তারা না থাকলে আজ আমি বেঁচে থাকতাম না।
আমার মত খারাপ সময় কারও যেন জীবনে না আসে। মানুষ শুধু গায়ের আঘাতের চিহ্নগুলি দেখে, কিন্তু মনের ভিতরে যে রক্তক্ষরণ হয় কারো চোখে পড়ে না। চোখে পড়ে যারা আমার আত্মার আত্মীয় পরম বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষী এবং আমার মায়ের।
আল্লাহ তাদেরকে সব সময় ভালো রাখুক আর তাদেরকে যেন আমি এভাবেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার জীবনে পাশে পাই, আমিন।”
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ