সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

খুলনায় ইজিবাইকের ইচ্ছামতো ভাড়া বৃদ্ধি, যাত্রীদের ক্ষোভ।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ খুলনা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালকরা কয়েকটি রুটে ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ১ জানুয়ারি থেকে এ অবস্থা চলছে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা।

যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, রূপসা থেকে সাতরাস্তা মোড় পর্যন্ত ভাড়া পাঁচ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা, গল্লামারী থেকে ডাকবাংলা মোড় পর্যন্ত ১০ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা, ডাকবাংলা থেকে খালিশপুর পর্যন্ত ১৫ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। গল্লামারী থেকে নতুন রাস্তা পর্যন্ত চলাচলকারী ইজিবাইকেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক সমিতিও বর্তমানে অভিভাবকহীন। সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট রুটের ভাড়ার কোন তালিকা না থাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

জরুরী প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হন আহসান আহমেদ রোডের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি খালিশপুর যাবেন। আগে যেতে ২০ টাকা খরচ হতো, এখন সেখানে আরও ১০ টাকা বাড়াতি গুনতে হচ্ছে। তা না হলে চালক তাকে গাড়িতে তুলবেন না। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। সকালে অফিস যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে কথা না বলে ইজিবাইকে উঠে পড়েন। কর্মস্থলে এসে তাকে আক্কেলসেলামির দন্ড দিতে হয়। তিনি জানান, গত কয়েকদিন তিনি ইজিবাইকে চড়েনি। ইজিবাইকের ভাড়া যে বৃদ্ধি পেয়েছে তাও তিনি জানেন না। তাকে ১০ টাকার স্থলে ২০ টাকা গুনতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। মানুষকে হয়রানি করতেও তারা দ্বিধাবোধ করে না বলে তিনি জানান।

গল্লামারী এলাকার বাসিন্দ ওয়াজেদ আলী জানান, বাড়তি ভাড়া চালকদের খামখেয়ালির ফসল। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ইজিবাইক চলে বিদ্যুত চার্জের মাধ্যমে, ডিজেলে নয়।

ইজিবাইক চালক ইমরান বলেন, ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়েনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগাম ছাড়া দাম। বেড়েছে ইজিবাইক ভাড়াও। খুচরা যন্ত্রপতির দামও বেড়েছে। তাই ভাড়া না বাড়িয়ে আর কোন উপায় নেই।

খুলনা মহানগর ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জনার্দন দত্ত নান্টু অকপটে কয়েকটি রুটের ভাড়া বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন। একটি ইজিবাইকের ভাড়া মালিকরা বাড়িয়েছে। প্রতিদিনের ভাড়া বাবদ পাঁচশ’ টাকার স্থলে সাড়ে পাঁচশ’ টাকা গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম ও খুচরা যন্ত্রাংশের মূল্য বৃদ্ধি ভাড় বাড়ার অন্যতম কারণ।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স শাখার সিনিয়র অফিসার ফারুখ হোসেন তালুকদার বলেন, ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে রিক্সার ক্ষেত্রে ভাড়া নির্ধারণ করেছিল এ প্রতিষ্ঠানটি। ভাড়া নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। সিটি মেয়রের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ