এতে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে, এর বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকবে।
এদিকে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। ঢাকায় উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কি.মি.।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) নাগাদ রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হবে।
বুধবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বুধবার দিনের শুরু থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। কোথাও কোথাও তা বর্ষার মতন রূপ নেয় সোয়া ৪টার দিকে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক তখন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ঢাকার পাশেই একটি বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে কুমিল্লার দিকে যাচ্ছে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ