মঙ্গলবার ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন সিনিয়র এই নায়ক। এবার নির্বাচনে পরীমনি কাঞ্চন-নিপূণ প্যানেল থেকে প্রার্থী হলেও শেষ মুহূর্তে তিনি নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা উঠেছিলো।
পরীমণির দুর্দিনে শিল্পী সমিতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই প্যানেলের আর একটা প্রার্থী আমাদের ছোটবোন পরীমণি। কিছুদিন আগে তার কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই সমস্যাটা কোর্টে চলে গিয়েছিল। কোর্টের বিচারের আগে অন্য কেউ কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাহলে এই শিল্পী সমিতি কী করে পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করলো?’
প্রশ্ন তুলেই ক্ষান্ত হননি এই অভিনেতা। তিনি পরীমণির শিল্পী সমিতির সদস্যপদ স্থগিতের পেছনে সিনিয়রদের ভূমিকার বিষয়টিও বক্তব্যে স্পষ্ট করে তুলে ধরেন।
আলমগীর বলেন, ‘তারা (মিশা-জায়েদ) বলেছে উজ্জ্বল ভাই, পারভেজ ভাই, ফারুক ভাই ও আমার সঙ্গে কথা বলেছে। মিথ্যে কথা। সে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। যদি প্রমাণ দিতে পারে আমি ওই প্যানেলকে ভোট দেব।’
এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘মিথ্যা কতটুকু বলা যায়? সীমারেখা পেরিয়ে গেছে। আর যদি প্রমাণ না দিতে পারে তবে আমি ওদের নামে ফৌজদারি মামলা করবো।’
তিনি বলেন, ‘১৮৪ জন সদস্যকে নাকি আমরা বাদ দিয়েছি! কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের কি কাউকে বাদ দেওয়ার অধিকার আছে? এটা হলো কার্যনিবার্হী পরিষদের কাজ।’
আলমগীর মিশা-জায়েদ খান প্যানেলের প্রতি তীর ছুঁড়ে বলেন, ‘আমরা যখন ইন্টারভিউ নেই তখন একটি হাজিরা কাগজ হয়। সেখানে আমরা সই দিয়েছি। এখন সেই সইটাকে তারা টেম্পারিং করে বলছে- তাদের সই রেখেই আমরা বাদ দিয়েছি। মিথ্যার একটা সীমা থাকা দরকার।’
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ