ভোট পুনর্গণনা চেয়ে আজ (২৯ জানুয়ারি) আপিল করেছেন তিনি। দুপুর পৌনে ১টায় লিখিতভাবে আবেদন জমা দিয়েছেন নিপুণ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
তিনি বলেন, ‘নিপুণ তার ভোট পুনরায় গণনার জন্য আবেদন করেছেন। নির্বাচনের কাগজপত্র নিয়ে আপিল বোর্ড বসেছে। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যালোচনা চলছে।’
এদিকে, জায়েদ ও নিপুণের ভোট সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বিতর্ক। ২৯ জানুয়ারি সকাল থেকেই একটি পরিসংখ্যান ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, নির্বাচনে জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ও নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। দুজনে মিলে পেয়েছেন ৩৩৯ ভোট। নির্বাচন কমিশনারের ব্রিফিং অনুযায়ী ভোট কাস্ট হয়েছে- ৩৬৫টি। ভোট বাতিল হয়েছে-১০, অর্থাৎ কার্যকরী ভোট ৩৫৫।
গোল বাঁধে এখানেই- নিপুণ ও জায়েদ মিলে মোট ৩৩৯ ভোট আর সঠিক ভোট ৩৫৫! হাতের বাকি ১৬ ভোট গেলো কোথায়?
এই প্রশ্নটি অনেকেই করেছেন। বিষয়টি নিয়ে দুই প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যস্ততার কারণে ফোন রিসিভ করেননি।
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘কার্যকরী পরিষদে ১০টি হলেও সম্পাদকীয় পরিষদে ২৬টি ভোট নষ্ট হয়েছে। যা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা আপিল করেছি, কীভাবে এটা নষ্ট হলো তা খতিয়ে দেখতে।’
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪২৮। ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। এরমধ্যে কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে বাতিল হয়েছে ১০টি ভোট৷ আর সম্পাদকীয়তে বাতিল হয়েছে ২৬টি ভোট৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। তার সঙ্গে কমিশনার হিসাবে রয়েছেন বিএইচ নিশান ও জাহিদ হোসেন।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ