সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

২২ প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ আর মাত্র একদিন পরেই (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যে নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম ঢাকাই সিনেমা অঙ্গন। শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত দুই প্যানেল ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ ও মিশা-জায়েদ পরিষদের প্রার্থীরা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে মগবাজারের একটি রেস্টুরেন্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল। সেখানে নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে শোনান সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন। যা সাজানো হয়েছে ২২টি পয়েন্ট আকারে।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা প্রথমেই চাই বঙ্গবন্ধুর তৈরি বিএফডিসিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে। এছাড়াও শিল্পীদের জন্য তৈরি কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবহার, চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে এটি নির্মাণে ঋণের ব্যবস্থাও করতে চাই।’

ইশতেহারের ২২ দফা

১. জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত এফডিসিতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের উদ্যোগ নেয়া।

২. চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট ২০২১-এর নীতিমালা অনুযায়ী শিল্পীদের কল্যাণে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার।

৩. প্রধানমন্ত্রীর কাছে সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সহজ শর্তে বড় অঙ্কের ফান্ডের ব্যবস্থা করা।

৪. ‘অন্যায়ভাবে’ যেসব সদস্যের সদস্যপদ বাতিল, স্থগিত ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, তাদের অধিকার ফেরত দেয়া ও সদস্যপদ পুনর্বহাল করা।

৫. শিল্পী সমিতির মর্যাদা রক্ষা ও সদস্যদের অধিকার সংরক্ষণে সচেষ্ট থাকা এবং কেউ একবার সদস্য হলে তাদের সদস্যপদ আজীবন সংরক্ষিত থাকবে, তবে সংগঠনের গঠনতন্ত্রও রাষ্ট্রবিরোধী গুরুতর কর্মকাণ্ডে কেউ সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ এলে এবং তদন্তসাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণ হলে সদস্যপদ স্থগিত হতে পারে। এটি সাধারণ সভায় উত্থাপন করে চূড়ান্ত অনুমোদন নেয়া হবে।

৬. যেকোনো দুর্যোগ, সমস্যা ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শিল্পী সমাজের পাশে দাঁড়ানো ও সহায়তা করা।

৭. সহায়তা গ্রহণকারীদের সম্মান ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ছবি/ভিডিও জনসমক্ষে প্রকাশ না করা।

৮. আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সব ধর্মীয় উৎসবে (যেমন: দুই ঈদ, দুর্গাপূজা, বড়দিন ও বৌদ্ধ পূর্ণিমা) স্বল্প আয়ের সদস্যদের উৎসব ভাতা ও উপহার দেয়ার ব্যবস্থা করা।

৯. পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিভিন্ন দেশের শিল্পী সংগঠনের সঙ্গে পারস্পরিক মতবিনিময় এবং শিল্পী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশি শিল্পীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

১০. শিল্পী সমিতির ওয়েবসাইট সমৃদ্ধ করতে প্রযুক্তিগত আরও উন্নয়ন করা।

১১. সব শিল্পীর প্রোফাইল তৈরি করা। বিশেষ করে নৃত্য ও অ্যাকশন দৃশ্যে শিল্পীদের প্রোফাইল তৈরি করে আন্তর্জাতিক কাস্টিং ডিরেক্টরদের দেয়া হবে। নৃত্য ও অ্যাকশন দৃশ্যে ভাষার ব্যবহার না থাকায় বিশ্বের যেকোনো দেশের চলচ্চিত্রে নৃত্য ও অ্যাকশন দৃশ্যের বাংলাদেশি শিল্পীরা যেন কাজ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা।

১২. শিল্পী সমিতির সভাপতিকে পদাধিকার বলে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যসহ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে প্রতিনিধিত্বের জন্য অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা।

১৩. ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করা শিল্পীদের জন্য বিশেষ বিমা ও সবার জন্য গ্রুপ বিমা নিশ্চিত করা।

১৪. শিল্পীদের চিকিৎসা কার্যক্রমের সুবিধার্থে কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক ল্যাবের সঙ্গে বিশেষ ছাড়ের জন্য চুক্তির উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন করা।

১৫. শিল্পীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি ও তাদের বাবা-মাকে সংবর্ধনা দেয়া।

১৬. চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলতে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞদের নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন এবং নতুন প্রযোজকদের চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি থেকে শুরু করে ছবি মুক্তি পর্যন্ত যাবতীয় সহায়তা দেয়া।

১৭. চলচ্চিত্র সংক্রান্ত সব সংগঠনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং পারস্পরিক স্বার্থে মতবিনিময় করা।

১৮. শিল্পী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া, যেখানে সব ধরনের শিল্পী তৈরির পাঠ্যসূচি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।

১৯. নৃত্যের শিল্পীদের জন্য ড্যান্স স্টুডিও ও ফাইট অ্যান্ড স্টান্ট স্টুডিও এবং অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্ট সমৃদ্ধ জিমনেসিয়াম স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া।

২০. সব শিল্পীর উপযোগী মেকআপ সেলুন ও পার্লার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া।

২১. শিল্পীদের পেশার মান বৃদ্ধিতে দেশের ও দেশের বাইরের কিংবদন্তি শিল্পীদের নিয়ে বিশেষ সেমিনার ও ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা করা।

২২. প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সফর ও বিদেশে সাংস্কৃতিক সফরে শিল্পীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ