আপিল বোর্ডের এই সিদ্ধান্তকে আইন বহির্ভূত বলছেন এই নেতা। বলছেন, ‘তাদের (আপিল বোর্ডের) কোনও অধিকারই নেই এমন সিদ্ধান্ত দেওয়ার। ক্ষমতাও নেই। তারা ৩০ জানুয়ারি থেকেই ডিজলভ। কারণ, ঐ দিন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে স্বাক্ষর দিয়ে তারা তাদের কাজ শেষ করেছেন। সেই ঘটনার ৫ দিন পর কেন এই সিদ্ধান্ত? কোন ক্ষমতায় এটি হলো?’
জায়েদ খান জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি তার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন ও জানাবেন। তার ভাষায়, ‘এখনই সব শেষ নয়।’
টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে দাবি করে সদ্য নির্বাচিত জায়েদ খানের সম্পাদক পদ বাতিল ঘোষণা করেছে আপিল বোর্ড। সঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলো নিপুণকে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে এমনটাই ঘোষণা করেন নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান।
একই অভিযোগে নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়। আর সেই পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় নাদির খানকে। এছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে আখ্যা দেন আপিল বোর্ডের প্রধান সোহান।
আজ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় এফডিসিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান ও কার্যকরী সদস্য পদে চুন্নুর নির্বাচন আচরণবিধির অভিযোগ নিয়ে বৈঠকে বসে আপিল বোর্ড।
এখানে উপস্থিত ছিলেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, দুই নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হোসেন ও বি এইচ নিশান, অভিযোগকারী নিপুণ, নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
তবে এ বৈঠকে দুই অভিযুক্ত উপস্থিত ছিলেন না। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ