ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার নানা বিষয়ে বলেন তিনি। একাকিত্ব জীবনের বেদনার কথাও বলে যান ফেসবুক লাইভে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আবু মহসিন খানের নিজ বাসায় এ আ.ত্মহ.ত্যার ঘটনা ঘটে। যারা সেই সময় লাইভটি দেখছিলেন তারাই পুলিশকে ৯৯৯ এ খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেন। কয়েক মুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে সেই লাইভ ভিডিও।
এখন ফেসবুকে ঢুঁ মারলেই মিলছে চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খানের কিছু স্মৃতি। ভাসছে দরজার সেই লেখা আর কাফনের কাপড়ের ছবি।
মৃত্যুর আগেই হজে ব্যবহার করা সেই কাপড়কে কাফনের কাপড় হিসেবে রেখে যান আবু মহসিন খান। কম্পিউটারে টাইপ করা কাপড়ের প্যাকেটের ওপর নোটও রেখে যান তিনি।
এছাড়াও আ.ত্মহ.ত্যার আগে একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন নায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খান। লাইভে নিজের শারীরিক অবস্থা, পরিবার, স্বজন, ব্যবসাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।
ফেসবুকে লাইভের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কালেমা পড়তে পড়তে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গু.লি করেন মহসিন। মোট ১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের লাইভে নিজের মাথায় গু.লি করেন ১৬ মিনিট ২ সেকেন্ডের সময়। ভিডিওতে দেখা যায় গু.লির পরে ১৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের সময় নিজের হাত থেকে পিস্তলটি পড়ে যায়। এরপর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে টাইপ করা সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি। এ ছাড়া দরজার সামনে লেখা ছিল ‘মামা দরজা খোলা হাতলের হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে ভিতরে ঢুক।’
রুমানা আক্তার বলেন, সুইসাইড নোটগুলো ধানমন্ডি ক্রাইম টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সিআইডির কাছে রয়েছে।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ