মর্গ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা রিয়াজের কাছে জানতে চান মহসিন খানের আ ত্মহ ত্যা ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কারণ সম্পর্কে।
এসময় রিয়াজ কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আপনারা আমার বাবার (শ্বশুর) জন্য দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন। বেহেশত নসিব করেন। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে পারছি না।
এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কে নিজ ফ্ল্যাটে ফেসবুক লাইভে এসে কিছু সময় কথা বলার পর নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আ ত্মহ ত্যা করেন মহসিন। খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আ ত্মহ ত্যার আগে একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন আবু মহসিন খান। পুলিশ বলেছে, সেখানে তিনি লিখেছেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি।
সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মহসিন খানের সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘ব্যবসায় ধস নেমে যাওয়ায় আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমার সঙ্গে অনেকের লেনদেন ছিল। কিন্তু তারা টাকা দেয়নি। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মহসিন খান ২০১৭ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
এদিকে ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, উনার (মহসিন) যারা ফলোয়ার ছিলেন, তারা ঘটনাটি দেখে ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলা থেকে মহসিনের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, চেয়ারের মধ্যে মৃতদেহ আর পাশেই তার বৈধ পিস্তলটি পড়েছিল। পঞ্চম তলার ওই ফ্ল্যাটে কেউ ছিলেন না। তার স্ত্রী ও সন্তান অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ