স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কর্শা ইউনিয়নের মন্দপাড়া এলাকার মজনু ভেকু মেশিন দিয়ে তার বাড়ির পাশে কয়েকদিন থেকে পুকুর খনন করছিলেন। খননের এক পর্যায়ে আজ কালো পাথরের প্রাচীন একটি মূর্তি ভেকু মেশিনের সঙ্গে উঠে আসে। মুহূর্তেই এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকার মানুষ মূর্তিটি দেখতে পুকুরপাড়ে ভিড় জমায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, কুর্শা ইউনিয়ন ভূমি অফিস এলাকায় পুকুর খননের সময় একটি কালো পাথরের মূর্তি পাওয়া গেছে। সবার ধারণা সেটি কষ্টি পাথরের মূর্তি। ওই এলাকাটিতে হিন্দুরা বসবাস করতেন। পাথরটি ২২ ইঞ্চি লম্বা।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাথরের প্রাচীন একটি মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। এটি আদালতে জমা দেওয়া হবে।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল কাদের বলেন, পুকুর খনন করতে গিয়ে মূর্তিটি মাটির নিচ থেকে উঠে আসে স্থানীয়রা পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে মূর্তিটির ওজন ৫০ কেজি। উদ্ধারকৃত পাথরের মূর্তিটি এখন থানা হেফাজতে রয়েছে। পরিক্ষা নিরীক্ষা করলে বোঝা যাবে মূর্তিটি কিসের এবং এর মূল্য কতো। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে আমরা খবর দিয়েছি। তারা পাথরটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।
0 মন্তব্যসমূহ