সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্বেও ভাটায় খড়ি পোড়ানো বন্ধ হয়নি।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ কুষ্টিয়া পরিবেশ রক্ষা ক্লাবের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভাটায় খড়ি পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ সত্বেও এখনো বহাল তবিয়তে চলছে খড়ি পোড়ানো।  কুষ্টিয়ার প্রায়  ১৫০ টি ভাটায় চলছে খড়ি পোড়ানোর মহোৎসব। এদিকে কুমারখালীতে ১৪ টি অবৈধ ড্রাম চিমনি ভাটায় খড়ি পোড়ানো হলেও শুরুর দিকে  পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কয়েকটি ভাটা ভেঙে দিলেও পরবর্তিতে তারা বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। 

কুষ্টিয়া পরিবেশ সংরক্ষন ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, মূলত নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ইট পোড়ানো হয়। প্রতিবছর ইটভাটার মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় কী পরিমাণ কাঠ পোড়ানো হয়, তার সঠিক হিসাব সরকারি কোনো দপ্তরে পাওয়া যায়নি। তবে ভাটাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এর একটি ধারণা পাওয়া যায় তাতে প্রতি হাজার ইট পোড়াতে গড়ে  ১৮ মণ কাঠের প্রয়োজন হয়। আবহাওয়া ও কাঠের ধরনে কিছুটা কম-বেশি হয়। সে হিসাবে প্রতি লাখ ইট পোড়াতে গড়ে ৮০ টন কাঠ প্রয়োজন হয়। এভাবে প্রতিটি টিনের চিমনি ভাটায় খড়ি পুড়িয়ে প্রায় ১৫ লাখ ইট তৈরি করা হয়। সেই হিসেবে  কুষ্টিয়া প্রায় দেড়শত ভাটায় প্রতিবছর  ১ লাখ ৮০ হাজার টন খড়ি পোড়ানো হয়। এই খড়ির যোগান দিতে  গাছ কেটে উজার করে দেয়া হচ্ছে। যেকারণে দিনে দিনে পরিবেশ পরছে হুমকির মুখে। তিনি আরো বলেন পরিবেশ রক্ষায় তাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে ভাটায় খড়ি পোড়ানো বন্ধের জন্য সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারী ভাটায় খড়ি পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ জারি হয়। এবং সেই নির্দেশের কপি পরিবেশ অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন উপজেলায় পৌঁছালেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিভিন্ন ভাটায় চলছে খড়ি পোড়ানোর মহোৎসব। 

এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, ভাটায় খড়ি পোড়ানো বন্ধের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পেয়েছি। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়  ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে বিষয়টি নিয়ে মিটিং হয়েছে। খুব দ্রুত অভিযান পরিচালিত হবে সমস্ত অবৈধ ইট ভাটা  ও খড়ি পোড়ানো বন্ধের জন্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ