সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রুটিন তৈরির একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ২টি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রুটিন তৈরি করতে হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবে, তবে অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসবে সপ্তাহে মাত্র একদিন।
রুটিন তৈরির ১০ নির্দেশনা নিম্নে প্রকাশ করা হলোঃ
১/ ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষা প্রাতষ্ঠানে আসবে।
২/ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মাত্র একদিন প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবে।
৩/ সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ২টি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রুটিন তৈরি করতে হবে।
৪/ রুটিনের সঙ্গে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাস নির্ধারণ করতে হবে।
৫/ যেসব প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর সংযুক্ত রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান ওই সকল স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাসগুলোতে সমন্বয় করে রুটিন করতে হবে।
৬/ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলমান ডিগ্রি, সম্মান ও মাস্টার্স পরীক্ষার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে ২০২১ ও ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রুটিন প্রণয়ন করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৭/ রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ, প্রস্থান ও অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের মতো ঘটনা না ঘটে।
৮/ রুটিন এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রস্থান করে।
৯/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসেম্বলি বন্ধ রাখতে হবে।
১০/ প্রতিদিন নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে হবে।
১১/ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে উল্লিখিত বিষয়গুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
1 মন্তব্যসমূহ
আলহামদুলিল্লাহ ভালো খবর।
উত্তরমুছুন