সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

তাক লাগাল জাপান, একই গাড়ি ছুটবে সড়ক ও রেলপথে।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ কখনও সড়কপথে, কখনও বা রেলপথে। একই গাড়ি দুই পথেই সমান রকম সাবলীল ভাবে চলতে সক্ষম। অর্থাৎ একই গাড়িতে বসে বাস ও ট্রেনে চড়ার অনুভূতি অনুভব করতে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা। না এটা কোনও অবাস্তব কল্পনা নয়। বিশ্বে প্রথম এ ধরনের ‘ডুয়েল মোড ভেহিকেল’ (duel mode vehicel) বা ‘ডিএমভি’ চালু হল জাপানে (japan)। শনিবার জাপানের টোকুশিমা অঞ্চলের কাইয়ো শহরে (kiyo town) ডিএমভির যাত্রা শুরু হল। ডিএমভি দেখতে অনেকটা মিনি বাসের মতই। সড়ক পথে আর পাঁচটা গাড়ির মতো তাকে চলতে দেখা যাবে। অন্য গাড়ির সঙ্গে তাকে আলাদা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু রেললাইনে ওঠার সময় এর পেটের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে স্টিলের চাকা। তখন এটা পুরোদস্তুর ট্রেনের (train compartment) বগিতে পরিণত হবে। এই গাড়িতে একসঙ্গে ২১ জন যাত্রী চড়তে পারবেন। রেলপথে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে এটি চলবে। তবে সড়কপথে সর্বোচ্চ গতি (highest speed) হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। এটি একটি ডিজেল চালিত গাড়ি।

বিশ্বে প্রথম এ ধরনের ডুয়েল মোট গাড়ি চালু করে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিল জাপান। সড়কপথে ডিএমভির চাকা হিসাবে আর পাঁচটা সাধারণ গাড়ির মতোই রবারের টায়ার ব্যবহার করা হবে। কিন্তু যখন রেলপথে উঠবে তখন সেই রবারের টায়ার পেটের ভিতরে ঢুকে যাবে। পরিবর্তে বেরিয়ে আসবে ইস্পাতের চাকা। একেবারে হুবহু আমাদের রেল গাড়ির মতোই। তবে অনেকেই বলছেন, রেলপথে ডিএমভির গতিবেগ আরও কিছুটা বেশি হলে ভাল হত। যদিও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী দিনে তাঁরা রেলপথেও ডিএমভির গতিবেগ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। খুব শীঘ্রই হয়তো গতি বাড়বে। আপাতত নীল, লাল, হলুদ বিভিন্ন রংয়ে এই গাড়িগুলি তৈরি হয়েছে। তবে গাড়িগুলির আকার খুব একটা বড় নয়। জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ শিকোকুর উপকূলীয় এলাকায় কয়েকটি ছোট শহরের মধ্যে এই ডিএমভি চলাচল করবে। তবে আগামী দিনে দেশের অন্যান্য অংশেও ডিএমভি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে জাপান সরকারের। মূলত পর্যটকদের আকর্ষণ করতেই এই ডিএমভি চালানোর সিদ্ধান্ত। উপকূলীয় এলাকায় যাত্রীরা যাতে ডিএমভিতে বসেই সমুদ্রতীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, জাপানের আসা কোস্ট রেলওয়ে এডিএমভি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। এই সংস্থার সিইও শিগেকি মিউরা বলেছেন, এই বিশেষ ধরনের যান গ্রামাঞ্চলের বসবাসকারী মানুষ বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য খুবই উপোযোগী হবে। শীঘ্রই ডিএমভি জনপ্রিয় গণপরিবহণ মাধ্যম হয়ে উঠবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি এডিএমভি পর্যটকদের জন্যও এক বিশেষ আকর্ষণ। অনেকেই উইক-এন্ডে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। এই সমস্ত মানুষ নিশ্চিতভাবেই ডিএমভি চড়ে আনন্দ পাবেন।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ