বেঁচে যাওয়া এক নারী জানান, আগুন যখন এখানে আসছে, আমি ঘুমে ছিলাম, বিকট একটা শব্দ আসছে, আমার ছেলে ১৩ বছর বয়স, এ বছর এইটে পরীক্ষা দিছে।ওরে আমি উঠাইছি। ও তো লম্বা হয়ে গেছে, ওরে টাইন্না এইখান থেকে ওইখানে নিছি। মানুষ আর মানুষ। ছেলে তো সাঁতার জানে না, যখন সবাই লাফ দেয়, আমার তো লাফ দেওয়ার সাহসই নাই, ছেলে বাঁচবে না, আমি বেঁচে কী করব?
“আমরা দোয়া কালাম পড়ে রেডি হইছি, বাচ্চারে কোলে নিছি, আর কোনোদিন দেখা হবে না। কেয়ামতের দিন দেখা হইলে বাবা, তোমারে ভালো রেজাল্টের জন্য কত মারছি, তুমি আমারে ক্ষমা কইরে দিও।
আমার ছেলে অমারে ধইরে বসছে চুমু দিয়া, বলে ‘আম্মু, তোমারে ছাড়া বাঁচব না’। ও লাফ দিছে, আমি বোরকা ছিড়ড়া ঝাঁপ দিছি। আমি মনে হয় ৫ ফুট না কয়ফুট গেছি জানি না, হঠাৎ কইরা ভাইসা উঠছি, সাঁতার দিয়া ছেলেরে ধরছি। শেষ পর্যন্ত নদীতে লাফ দিয়ে বেঁচে যান ওই নারী ও তার ছেলে।
0 মন্তব্যসমূহ