সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

খুলনায় গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, সাথে ডিমও।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় এবার নতুন করে যুক্ত হলো গরুর মাংসের নাম। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। থেমে নেই ডিমের দামও। প্রতিহালি ডিমে মানভেদে বেড়েছ দুই থেকে চার টাকা। শাকসবজির দামও চড়া।

নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকায়। বেগুন প্রতিকেজি ৬০ টাকা, মটরশুটি ১২০ টাকা, প্রতিকেজি লাউশাক ৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা ও লালশাক ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

নগরীর ময়লাপোতার মাংস বিক্রেতা জাহাঙ্গীর জানান, ভারত থেকে দেশে গরুর আমদানি কমে গেছে। দেশে গরুর পরিমাণ খুব কম। যা হাটে আসে তার থেকে কসাইয়ের সংখ্যা বেশী থাকে। ফলে গরুর দাম বেড়েছে।

টুটপাড়া এলাকার কসাই সালাম জানান, “পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। গরুর খাবারের দাম অস্বাভাবিক। তাই এ দামে বিক্রি না করে আর কোন উপায় নেই।”

পাইকারী ডিম বিক্রেতা বদরুল আলম জানান, শীতের প্রকোপ বেড়েছে। মুরগীর ভাইরাস আক্রমণের শিকার হচ্ছে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ বেড়েছে। খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিকেজি খাবারের দাম ২০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঝে খাবারের দাম কমে গিয়ে আবার তা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

রূপসা বাজারের ডিম বিক্রেতা সাকিব শেখ বলেন, গত সপ্তাহে ডিমের দাম কম ছিল। কিন্তু বছরের শেষ দিন থেকে এ পণ্যটির দাম বেড়েছে, তখন থেকে আর কমেনি। প্রতিহালি ডিম ৩০ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তার দোকানে।

নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা নুরুন্নাহার জানান, গত কয়েকদিন ধরে সবজির বাজার বেশ চড়া। প্রতিকেজি লাউশাক ও লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ভাইরাসের আক্রমণকে দায়ী করেছেন তিনি।

কথা হয় ক্রেতা আলমগীর হোসেনের সাথে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন। করোনার পর আয় বাড়েনি তার। কিন্তু বেড়েছে বাড়ি ভাড়া, পরিবহন খরচ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তাই আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন সামঞ্জস্য তিনি খুঁজে পাচ্ছে না।

ঢাকা/মীম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ