বুধবার (৫ জানুয়ারী) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন-পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার।
চার্জ শুনানিকালে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু।
এই মামলায় গত রোববার হাজিরা দিয়ে যান পরীমনি। ওই দিনই অভিযোগ ওঠনের ওপর শুনানির হওয়ার কথা ছিল। সেদিন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আয়ুবুর রহমানের মৃত্যুতে তার সম্মানে বিচারিক আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শুনানি হয়নি। আদালত আগামী ৫ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করে দেয়।
গত ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। বাহিনীটি জানায়, এই অভিনেত্রীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
এরপর বনানী থানায় পরীমনিসহ আরও দুজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করে র্যাব। এই মামলায় কয়েক দফায় পরীমনিকে রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়।
৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ জামিন মঞ্জুর করলে কারামুক্ত হন পরীমনি।
গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআর শাখায় চার্জশিট জমা দেন।
মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। গত ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জপত্র গ্রহণ করেন।
১৪ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বদলির আদেশ দেন।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ