বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুব কবীর মিলন।
তিনি জানান, ইভ্যালির নামে রেজিস্ট্রেশন করা যে গাড়িগুলো তাদের কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল সেগুলো আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে পরিচালনা বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। যদি কেউ ফেরত না দেয়, সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি আত্মসাতের মামলাসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ থেকে ইভ্যালির গাড়ির বিস্তারিত সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ইভ্যালির সমস্যা ও অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু তথ্য আগামী সপ্তাহে দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। আমরা শেষবিন্দু পর্যন্ত চেষ্টা না করে সবাইকে পথে বাসানোর মতো কাজ করব না।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করে র্যাব। প্রতিষ্ঠানটির সব অফিস বন্ধ হয়ে যায়। এর এক মাস পরে বন্ধ হয় ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপ। গত অক্টোবরের পর ইভ্যালির ফেসবুক পেজে কোনো পোস্ট হয়নি। গ্রাহকরা কার কাছে কীভাবে টাকা চাইবেন সেটার মতোই ঠিক কত গ্রাহক ইভ্যালি থেকে পণ্য কেনা বাবদ টাকা পায় তাও অজানা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি বলছে- গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ইভ্যালির দেনা ৫৪৩ কোট টাকা। প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক রয়েছে দুই লাখের বেশি। তবে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ পরিমাণ একশ কোটি টাকার কম। যদিও র্যাবের দাবি, ইভ্যালি থেকে গ্রাহক মার্চেন্টের পাওনা এক হাজার কোটি টাকার বেশি।
এদিকে ইভ্যালি নিয়ে গ্রাহকের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় গত বছরের অক্টোবরে। সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে করা হয় পর্ষদের চেয়ারম্যান। আর সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলনকে নিয়োগ দেওয়া হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে। পর্ষদ গঠনের চার মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত ইভ্যালির অডিট বা নিরীক্ষা হয়নি।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ