রোববার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে আবাহনী। দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান রাকিব হোসেন। রহমতগঞ্জের একমাত্র গোলটি করেন ফিলিপ আজাহ।
চোটের কারণে ফাইনালে আবাহনী পায়নি রাফায়েল অগাস্তো সান্তোস দি সিলভা ও দোরিয়েলতন গোমেস রদ্রিগেসকে। এ সুযোগে শুরু থেকে উজ্জীবিত ফুটবলের পসরা সাজায় রহমতগঞ্জ। তবে গোল করতে পারছিলো না তারা।
২৮তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় আবাহনী। সে সময় অবশ্য নাবীব নেওয়াজ জীবন সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।
৩৫তম মিনিটে রহমতগঞ্জ অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান কিরণের কর্নারে এনামুল ইসলাম গাজীর ব্যাক হেড দুরের পোস্টের খানিকটা উপর দিয়ে চলে যায়। ৪৫তম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট করেন চিজোবা।
বিরতির ঠিক আগে এগিয়ে যায় আবাহনী। রাকিব হোসেনের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে কাছের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন কোস্টারিকার এই ফরোয়ার্ড। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকে মাঠে নেমেই দাপট দেখায় আবাহনী। যা ধরে রেখে দলটি ব্যবধান দ্বিগুন করে ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে। সে সময় নুরুল নাইম ফয়সালের শট থেকে বল পেয়ে তুষার ফিস্ট করে ফেরানোর পর বল বক্সেই পেয়ে যান রাকিব। একটু এগিয়ে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ফরোয়ার্ড। এর ছয় মিনিট পর ঘুরে দাঁড়ায় রহমতগঞ্জ। শাহরিয়ার বাপ্পীর দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বাড়ানো থ্রু পাস ধরে ডিফেন্ডার মামুন মিয়াকে কাটানোর পর ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক শহিদুলের বাধা পেরিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আজাহ। তারপরও আবাহনীর জয় ঠেকাতে পারেনি দলটি। যে কারণে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি ফেডারেশন কাপের মুকুট পুনরুদ্ধারের উল্লাসে মাতে।
ঢাকা/ইসরাত
0 মন্তব্যসমূহ