সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য শীতকাল।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ তার মধ্যে একটি হলো শীতকাল। শীতকালে বাংলাদেশের প্রকৃতির সৌন্দর্য অন্য ঋতুর চেয়ে  একটু আলাদা। শীতকালে বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে ঋতুর বিবর্তনের জন্য  অন্যরকম এক আনন্দের  সূচনা হয়।

শীতকালে গ্রামের এক সৌন্দর্য আর শহরে আরেক সৌন্দর্য। তবে শীতকালে শহরের চেয়ে গ্রামের সৌন্দর্য বেশি উপভোগ করা যায়। যার মাঝে আমি সবসময় হারিয়ে যেতে চাই ভোরের শিশির ভেজা সকাল বেলা আর গ্রামীণ প্রকৃতি আমার খুবই ভালো লাগে।

প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য রয়েছে আমাদের দেশে।বিধাতা নিজ হাতে সাজিয়ে তুলেছে আমাদের দেশ। সুজলা সুফলা. শস্য শ্যামলা প্রকৃতি আমাদের দেশকে দিয়েছে দুহাত ভোরে। প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য দেখা মিলে  আমাদের গ্রাম বাংলায়।

গ্রাম বাংলায় শীত ঋতুর  প্রকৃতির একঅপরূপ দেখা  মিলে  ।গ্রাম  বাংলায় যেদিকে দুচোখ চারদিকে সবুজের সমারোহ।গ্রামের সেই আকাঁবাঁকা পথ আমাদের মুগ্ধ করে গভীরভাবে।গ্রাম বাংলায় অপার  স্নিগ্ধতা আমাদের গ্রাম এর প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।শহরের ইটঘাট এর নগরীতে শীতের স্নিগ্ধতা গ্রাম  ছাড়া এই  স্নিগ্ধতা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।  তাইতো খানিকটা অবসরে শহরের মানুষ ছুটে আসে আমাদের এই গ্রামবাংলায়। গ্রাম বাংলায় শীতের  এই স্নিগ্ধ রুপে মুগ্ধ হয়ে কতশত কবি সাহিত্যিক যে কাব্য রচনা করেছে তার হিসাব নেই।

গ্রামবাংলার লোকায়ত সংস্কৃতির যত আয়োজন আছে, সবই আয়োজিত হয় শীতের রাতে। যেমন—কবিগান, জারিপালা, মুর্শিদিগান, মাঘীপূর্ণিমা, মানিক পীরের গান, পতুলনাচ, মাদার বাঁশের জারি, মাইজভাণ্ডারি গান ইত্যাদি। কুয়াশার রাতে যতই ঠাণ্ডা হাওয়ায় কাঁপুনি থাকুক, যাত্রাপালা শুনতে যাওয়াকে কি আর ঠেকিয়ে রাখতে পারে! শীতের রাতে নানা ধরনের নাট্যগীতের আয়োজনে মুখর হয় গ্রামবাংলা। শীতকালজুড়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গাজীর গীত, মানিক পীরের গীত, মাদার পীরের গীতসহ বিভিন্ন ধরনের যাত্রাপালা অভিনীত হতে দেখা যায়। কোনো কোনো যাত্রাপালা অভিনীত হয় গ্রামের সাধারণ মানুষেরই উদ্যোগে, তাদেরই অভিনয়ে শখের যাত্রাপালা হিসেবে। 

গ্রামের সাধারণ কৃষক, কামার, কুমার, মুটে, ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশাজীবী মানুষ নিজেরাই শীতের প্রথম দিকে মহড়া দিয়ে যাত্রায় অভিনয় করে থাকে। অন্যদিকে কিছু পেশাদার যাত্রার দল পেশাদার অভিনেতাদের নিয়ে শীতকালজুড়ে পরিবেশন করে যাত্রাপালা। সুতরাং শীতের সঙ্গে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উত্সবের সংযোগ রয়েছে বৈকি।

গ্রামে শীতের পিঠার সময় সকালে আর শহরে সন্ধ্যায়। হেমন্তে ঘরে ওঠা আতপ চালের গুড়া থেকেই শীতের ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠার কাঁচামাল। শহুরে জীবনে এই কাঁচামাল ঘরে নিয়ে পিঠা বানানো সহজ নয়। তাই পথেই পিঠা খাওয়া হয়, আর এই পিঠা বানার দোকান গুলো বসে বিকেলে, বিকিকিনি চলে রাত অব্দি, অফিস শেষে আপনিও পিঠা দেখে থমকে যেতে পারেন এখানে। এমন দেশটি  কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। 

লেখকঃ জাহিদুল ইসলাম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ

  1. ধন্যবাদ বিডি নিউজ কে আমার লিখা টা প্রকাশ করার জন্য 💜

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

      মুছুন