সাংসদ নায়ডুকে জানান, ৩০ জানুয়ারি তিনি যখন হু-র মানচিত্র দেখছিলেন সেই সময় বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। হু-র ওয়েবসাইটে তিনি গোটা বিশ্বের কোভিড পরিস্থিতি অনুসন্ধান করছিলেন। সে সময় তিনি দেখেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীরকে চিন ও পাকিস্তানের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ আলাদা রঙে চিত্রিত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই নির্দিষ্ট অংশে ক্লিক করলে পাকিস্তান ও চিনের করোনা সংক্রান্ত তথ্য উঠে আসছে। এমনকী, পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন জম্মু -কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকাকে সাদা রংয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
পাশাপাশি চিন সীমান্ত সংলগ্ন একটি অংশকেও আলাদা রং করা হয়েছে। একই রকমভাবে দেখানো হয়েছে অরুণাচল প্রদেশকেও। বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে শান্তনু সেন সরাসরি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছে। কিন্তু এটা আদৌ ঠিক নয়। সরকারের বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত ছিল। আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু সরকার সেটা না করায় এটা স্পষ্ট যে, মোদি সরকার দেশের সুরক্ষাকে অবহেলা করছে।
মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকের ফোনে আড়িপাততে ব্যস্ত। সে জন্য সরকার পেগাসাস কিনছে। কিন্ত দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে মোদি সরকারের কোনও মাথা ব্যথা নেই। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জার। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি সম্পর্কে মোদি সরকারের আরও সচেতন হওয়া উচিত।
ঢাকা/মীম
0 মন্তব্যসমূহ