সর্বশেষ খবর

10/recent/ticker-posts

৭ মার্চ উপলক্ষে শাহবাগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আলোচনা ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।BDNews.in


বিডি নিউজ ডেস্কঃ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আজ বিকাল ৩টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। "বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা" শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনের সাধারণ মোঃ আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। 

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, ভাস্কর্য শিল্পী উত্তম ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাবেক সদস্য-সচিব  সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম মিলন, সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহীন সিকদার, রোমান হোসাইন, মুহাম্মদ নুর আলম সরদার, শহীদুল ইসলাম জীবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ ও হাতিরঝিল থানার সভাপতি শেখ সোহরাব হোসেন তামিমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। 

আলোচনা সভার শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এইদিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ কারণ এই ভাষণ একটি দেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে।" 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন, "গণ সূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে’ বাংলাদেশের স্বাধীনতার অমর কবিতা শুনিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ৭মার্চের পড়ন্ত বিকেলের অপ্রতিরোধ্য বজ্রকণ্ঠ, দ্রোহের আগুন জ্বালিয়েছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে। ‘শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণের অনবদ্য চিত্র তুলে ধরেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ তাঁর ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতায়। কবি লিখেছেন , ‘সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।’ বঙ্গবন্ধুর সেই অমর ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর জাতিসংঘের ইউনেসকো ঐতিহাসিক দলিল "মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড" হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।  ৭ মার্চের ঐতিহাসিক দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আমরা বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।"

বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, "বড় বিষয় হলো, যুদ্ধ ও সামাজিক বিপর্যয় এবং সংরক্ষণের অভাবে বিশ্বজুড়ে ঝুঁকিতে থাকা নথিগুলোকে ২০ বছর ধরে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে ইউনেসকো। এ পর্যন্ত এসব স্বীকৃতির মধ্যে ইউনেসকো প্রথম কোনো ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ছিল অলিখিত। এজন্য আমরা বাঙালি জাতি অনেক গর্বিত।"

বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, "মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালি জাতির জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তোমাদের পাশে থাকবে।"  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, "বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়ে নিজেদের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা। সেই পতাকার মর্যাদা আমাদেরকেই সমুন্নত রাখতে হবে।"

আলোচনা সভা শেষে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ