শালিসের শুরুতেই তাদের দফায় দফায় মারধর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় সালিশে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মেম্বার ফেরদৌস ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তিনি।
এঘটনায় ভুক্তভোগী রাকেয়া খাতুন বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মেম্বার ফেরদৌসসহ ছয়জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন,একই এলাকার ফেরদৌস মেম্বার, আনারুল, মিলন, কেয়ারুল, কামিরুল ও জমিরুল।
ভুক্তভোগী রাকেয়া খাতুন জানান, আমার স্বামীর ভাই নজিরের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের অভিযোগ দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণপুর বটতলায় সালিশ বসান স্থানীয় মেম্বার ফেরদৌস। সেখানে উপস্থিত হলেই শালিসের শুরুতেই আমাদের দফায় দফায় মারধর করা হয়। প্রকাশ্য জনসম্মুখে মারপিট করতে করতে টেনে হিঁচড়ে আমি ও আমার মেয়ের শরীরে থাকা কাপড় খুলে বীভৎস করে নির্যাতন করে মেম্বার ফেরদৌসের সহযোগীরা। সবই ছিল মেম্বার ফেরদৌসের নির্দেশ। সালিশ বসিয়ে মা মেয়ের ওপর নির্যাতনকারীদের কঠোর বিচার দাবি করছি।
এঘটনায় থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে তারা আমি ও আমার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এখন পরিবারের লোকজনদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার এসআই দীপঙ্কর জানান,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিরপুর থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ